বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে কথা। গান দু-এক কলি ভেসে আসে। ওই কাঁসাই, হলুদ বালিতে কোন চিত হয়ে আছে নারী।এমন ঢাল, কোথাও একটু ঘোলা জলে সূর্য।।করিমপুর ছাড়িয়ে চারিদিক পাট ছড়িয়ে সব আলো হয়ে উঠল বাংলাদেশের ঘ্রাণে। সারিন্দা হাতে গান গেয়ে গেল জীবনভোর ভাসতে থাকা কিছু মানুষ। সবুজ ক্ষেতের উপর বুড়ো বক উড়ে গেল কোন বিষ মাখান মাছটার কথা মনে করে।
আমার ঝুলির ভেতেরে বাংলার গান আর অভিমান জমা হয়ে আছে।কাটোয়ায় রনপায়ের দল লম্বা লম্বা পা ফেলে চলে গেল তার মায়ের মৃত্যুসাংবাদের দীর্ঘ ছায়া ফেলে। সারাদিন জুড়ে নকশা।ঘোড়া নাচের দলের ব্যবস্থা হোল কোনক্রমে। গালিচার মত ধান ক্ষেত জুড়ে লাল ঘোড়া ছুটে গেল। দূরে বাউলের মাচায় যে ভাবে সন্ধ্যা নামে ঠিক সেই ভাবে আমি নেচে উঠি।
পুরুলিয়ায় ছৌ-নাচের দলের পিছনে আমি গড়ে তুলি এক মস্ত কারখানা। আর সব শুনসান।বুকের ভিতর শব্দ সব ছাতু করে দিলে বাঘমুন্ডি পাহাড়ের নিচে অবিন্যস্ত জলাশয়ে সবুজ পাতার উপর একে একে বসিয়ে নিচ্ছি পদ্ম ফুলগুলো। আমি ক্রমশ পাল্টে যেতে শুরু করেছি। হয়ত পাল্টাই প্রতিনিয়ত, টের পাই না।এখন লেখার সময় নয়। ছুটে চলেছি হারিয়ে যাওয়া কথা আর ছিন্ন গানের চাঁদমালায়। আমার দেহ ভেঙে মিশে যাচ্ছে প্রকৃতিতে, আর রক্তবীজের মত জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন গান। সুন্দরবনে জল নেমে গেলে যখন বাদ্যযন্ত্রের মত শিকড়েরা জেগে উঠল,আমি বিধ্বস্ত শরীরেও কিছুটা গান হয়ে উঠলাম
No comments:
Post a Comment