Sunday, August 15, 2010

অনন্ত কুয়োর জল

শক্তি

শক্তি,

শক্তিকে বড় মনে পড়ছে, এই যে সামনে পড়ে বাংলাদেশ আর তার নদীগুলি ঠিক যেন হাতের আঙ্গুল লিখে চলেছে ক্রমাগত, সমুদ্র অগ্নি ও চাঁদ। হলুদ বালিতে লুটাচ্ছে শালটা, কাঙাল গান ভাঙছে কক্সেসবাজারের ঢেউ।

আমি লিখছি শক্তির জন্য। আকুলতা ছড়ানো আছে বকুল মালতিফুলে। ফুলগুলি দুলছে, শিশিরে ভিজছে, চমকে উপরে তাকিয়ে দেখছে জ্বলন্ত চাঁদ।
আমি মাতাল হতে পারি না, শক্তি মাতাল হয় বারেবারে, সে লেখে, পাহাড়ে জোৎস্না ফোটে। ঠিক তার মাঝে ট্রেন যেন অঙ্গুরিমাল, ফেলে যাচ্ছে মাতাল এক উপত্যকা।


চাকমার পাহাড়ি বস্তি, বুদ্ধমন্দিরের চূড়া ছুঁয়ে
ডাকহরকরা চাঁদ মেঘের পল্লীর ঘরে ঘরে
শুভেচ্ছা জানাতে যায়, কেঁদে ফেরে ঘন্টার রোদন
চারদিকে। বাঁশের ঘরে ফালা ফালা দোচোয়ানি চাঁদ
পূর্ণিমার বৌদ্ধ চাঁদ, চাকমার মুখশ্রীমাখা চাঁদ!

নতুন নির্মিত বাড়ি সমুদ্রের জলে ঝুঁকে আছে।
প্রতিষ্ঠাবেষ্টিত ঝাউ, কাজুবাদামের গাছ, বালু
গোটাদিন তেতেপুড়ে, শ্রীতলে নিষ্ক্রান্ত হবে বলে
বাতাসের ভিক্ষাপ্রার্থী! জল সরে গেছে বহুদূর।
নীলাভ মসলিন নিয়ে বহুদূরে বঙ্গোপসাগর
আজ, এই সন্ধ্যাবেলা।

ব্ল্যাকডক মধ্যিখানে নিয়ে দুই কবির কৈশোর
দুটি রাঙা পদচ্ছাপ মেলানোর তদবিরে ব্যাকুল
ব্যর্থ আলোচনা করে, গানের সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়ে,
বর্ণমালা নিয়ে লোফালুফি করে তীরে!
রুপচাঁদা জালে পড়ে, খোলামকুচির মতো খেদ
রীভীন কাঁকড়ার স্তুপ সংঘ ভেঙে ছড়ায় মাদুরে
একা একা। উপকূলে।

বুদ্ধপূর্ণিমার চাঁদ কক্সবাজারের কনে-দেখা
আলোয় বিভ্রান্ত আজ। অধিকন্তু, ভরসন্ধেবেলা!
(কক্সবাজারে সন্ধ্যা, শক্তি চট্টোপাধ্যায়)


দেয়ালির আলো মেখে নক্ষত্র গিয়েছে পুড়ে কাল সারারাত
কাল সারারাত তার পাখা ঝ'রে পড়েছে বাতাসে
চরের বালিতে তাকে চিকিচিকি মাছের মতন মনে হয়
মনে হয় হৃদয়ের আলো পেলে সে উজ্জ্বল হ'তো ।
সারারাত ধ'রে তার পাখা-খসা শব্দ আসে কানে
মনে হয় দুর হ'তে নক্ষত্রের তামাম উইল
উলোট-পালোট হ'য়ে পড়ে আছে আমার বাগানে ।

এবার তোমাকে নিয়ে যাবো আমি নক্ষত্র-খামারে নবান্নের দিন ।
পৃথিবীর সমস্ত রঙ্গিন
পর্দাগুলি নিয়ে যাবো,নিয়ে যাবো শেফালির চারা
গোলাবাড়ি থেকে কিছু দূরে রবে সূর্যমুখী-পাড়া
এবার তোমাকে নিয়ে যাবো আমি নক্ষত্র-খামারে নবান্নের দিন ।

যদি কোনো পৃথিবীর কিশলয়ে বেসে থাকো ভালো
যদি কোনো আন্তরিক পর্যটনে জানালার আলো
দেখে যেতে চেয়ে থাকো,তাহাদের ঘরের ভিতরে--
আমাকে যাবার আগে বলো তা-ও,নেবো সঙ্গে ক'রে ।

ভুলে যেয়োনাক' তুমি আমাদের উঠানের কাছে
অনন্ত কুয়ার জলে চাঁদ পড়ে আছে ।।

ধন্যবাদ- হাসান মোরশেদ, নজরুল ইসলাম

শীত সে আসিলা বড় অসময়ে

শীত নিয়ে আবার ভানতে বসবো ভাবি নাই যা হোক শীত পড়তিসে কাল থেকে মালুম

১) কবীর সুমন চিড়িয়াখানার কথা মনে করিয়ে দিলেন
২) গুচ এ একটা "হোক-হোক' গুরুপ হইসে তাদের কাজই ওটাহাইবারনেশানে লোকে ব্লগ না খুলে মকশো করে, টই-এ কাজ সারছে কাবলিদার ভুতোর মত আর হোক-হোক
৩)বাঁকুড়ায় নিশ্চয় গুড় জ্বাল দেওয়া শুরু হয়েছে, গন্ধ আসতিসে এই তো সেই বছর, ঢাল থেকে নামতেই হুম, বাসে বড্ড সময় নেয়
৪) বই এর কাজ এখনও শেষ হল না চিন্তায় পড়ে যাচ্ছিএর ভেতর চামড়ায় টান
৫)সাপ-লুডু ভাবছি, কেবল ভাবছি ঘুমও পাচ্ছে
৬)গল্প লেখা নিয়ে ভাবছি, ফরম্যাট ও সংশ্লেষ নিয়ে ডায়ালগ না বড় হয়ে মেগাসিরিয়ালের ড্রয়িং রুম লেখার কথা ভাবছি না
৭) বাংলাদেশের ফিকিরে তামলিং ক্যানসেল শনিবার আবার শো২৪ পূর্ণিয়া হতে পারে নাও হতে পারে তবে হবে না আমি জানি, ২৮ শে ঈদ থাকবে
৮)সকালেও শীত শীত লাগছে

টিগো

কী চাই? জানিনা। রাহুল বসে বসে মেয়ে বাছছে। রিয়েলিটি শো।
আমি লিখছি না, লিখতে পারছি না। গ্লাসে শীতল পানীয় নীল হয়ে যায়, বিস্বাদ বিন্দু বিন্দু জমছে চারপাশে। আকাশও কেরোসিন। কেরোসিন।

সব গ্রাফিক্সে লাল রং এসে ঘেটে দিচ্ছে সব। টুডি। বিশ্বাসঘাতক সেফ ফ্রেম ঘাড় ধরে বার করে দিচ্ছে মেয়েগুলোকে। তালগোল লাগছে, টোডি-শাহরুখ আর টিপু সুলতানে। আপাতত আইটেম নাম্বার দিয়েই ম্যানেজ করতে হবে।
ইগো-টিগো আপাতত ধুয়ে-মুছে সাফ। নিবেদিতা ইস্কুলের উঠোনে মেয়েগুলো প্রার্থনা গাইছে, স্বরলিপির মত সারসার দাঁড়িয়ে। মৌমাছির চাকের মত মেয়ে পিজির উল্টোদিকে, লাল গ্রাফিক্সের মত সরলা রায়। উল্টো ফুটে পুড়ছে একলা সিগারেট।
এক্সাইড থেকে হেঁটে যাও জগুবাজারের দিকে। হোমল্যান্ড, গাঁজা পার্কের ঠেক, মেরা পাকোয়া ভাজি আর ভবানীপুর গার্লস। লাল জেব্রা দেওয়া জামাগুলি সুইজারল্যান্ডের মত উত্তাল, হলফ করে বলতে পারি, শাহরুখ নেচে উঠবেন ঠিক, ট্রেচারের মত পড়ে থাকা গাড়িগুলি ফাঁক ঠেলে তুমি পৌঁছে যাচ্ছ ঠিক লেখাটার খুব কাছে, তবু সেটা হয়ে উঠছে না।

কতিপয় শুভেচ্ছাবিন্দু

বই বেরলে আরও হতাশ হয়ে যাই স্যালাইনের বোতলে দু একটা বুড়বুড়ি ছিটকে পড়া রক্ত ক্রমশ জমাট বাঁধছে কালোর দিকে সেই এক গুহার ভেতর চতুরঙ্গের দৃশ্যপট

আজকাল রৌদ্রে বর্ণমালা অচেনা লাগে চিনা-জাপানি অক্ষর বেশ ছবির মত কোথাও বা ইমারত ভেবে নিচ্ছি, ঠিক পরিচিত এথেন্স আমার লেখাগুলো মুছে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রবল বৃষ্টিতে, আর দু একটা সাদা পাতা এসে পৌঁছায় খাবার টেবিলে, কদাচ

এখন বই মানে কতিপয় এস এম এস'এ শুভেচ্ছাবিন্দু, কতগুলি পিঁপড়ে সেই প্রবল ঝড় তুচ্ছ করে হেঁটে যাচ্ছে রাজধানী বরাবর, একে একে স্টেশনগুলি হিরণদা ও ধ্রুব এষ ভেঙ্গে নেপোলিয়ান ও মেজর জিয়া হয়ে পড়ছে

আমার ভাবনা চিন্তা সব জমে যাচ্ছে অমলেটের মত বুঝি আর নিস্তার নেই, এবার লিখতেই হবে, খনিজ আর জলে ভরা একটা গোটা পৃথিবী