বই বেরলে আরও হতাশ হয়ে যাই। স্যালাইনের বোতলে দু একটা বুড়বুড়ি। ছিটকে পড়া রক্ত ক্রমশ জমাট বাঁধছে কালোর দিকে। সেই এক গুহার ভেতর চতুরঙ্গের দৃশ্যপট।
আজকাল রৌদ্রে বর্ণমালা অচেনা লাগে। চিনা-জাপানি অক্ষর বেশ ছবির মত কোথাও বা ইমারত ভেবে নিচ্ছি, ঠিক পরিচিত এথেন্স। আমার লেখাগুলো মুছে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রবল বৃষ্টিতে, আর দু একটা সাদা পাতা এসে পৌঁছায় খাবার টেবিলে, কদাচ।
এখন বই মানে কতিপয় এস এম এস'এ শুভেচ্ছাবিন্দু, কতগুলি পিঁপড়ে সেই প্রবল ঝড় তুচ্ছ করে হেঁটে যাচ্ছে রাজধানী বরাবর, একে একে স্টেশনগুলি হিরণদা ও ধ্রুব এষ ভেঙ্গে নেপোলিয়ান ও মেজর জিয়া হয়ে পড়ছে।
আমার ভাবনা চিন্তা সব জমে যাচ্ছে অমলেটের মত। বুঝি আর নিস্তার নেই, এবার লিখতেই হবে, খনিজ আর জলে ভরা একটা গোটা পৃথিবী।
No comments:
Post a Comment