Monday, November 26, 2007

লেখালিখির আগে আমরা, কি ভালো দিন কাটাইতাম

তিনি বললেন,আগে কি ভালো দিন কাটাইতাম, তিনি আছেন লন্ডনে, সিলেটিরা নিয়ে গেছে ঐ যেন পুষ্পকরথ,আর জেটপ্লেনের সাদা ধোঁয়া ভিক্টোরিয়ান ব্রাশিংএর মত মুখ বুজে পড়ে থাকা গুটানো ল্যাজের কুকুর, নীল আকাশ আমার জামা হয়ে বুকে বুকে ঘোরে,বৃষ্টি ভিজে মুখ গোমড়া করে আঁকড়ে ধরেছে নিওলিথ শরীর, রঙিন বর্ষাতিতে কিন্ডারগার্ডেনের সামনে শামুকের মত লুকিয়ে রাখা কচি শরীর ও বিশেষত স্তুনগুলি ফুটে উঠছে এক সীমাহীণ সবুজ পুকুরে।

আমার বিষন্ন লাগে,পুকুরেরও। দুজনে বসে বৃষ্টিতে ভিজি বা ভিজি না।আমার সাদা কালো জামা ভেঙে চুরে ইমরুলের বইএর মলাট হয়ে যায়, তখন আমি কালিকাপ্রসাদের কথা ভাবি, আ্যমোনিয়া প্রিন্ট ও পর্চা সকল তাদের জারিজুরি শেষে কোন লোহার আলমারির ভেতর শেখ হাসিনা হয়ে যায়, সে মলাটের পেছনে কালীকাপ্রসাদ ছেপে দেয় কি ভাবে,বা একপাতা ন্যাপা। আমি বসে থাকি, লবুপাতার গন্ধ আর নয়ডা সেক্টর ১৮ এর শনিবাজারের সেই নতুন আখেরগুড়ের ম ম গন্ধের গরুরগাড়ির কথা মনে পড়ে যায় হটাত যেন, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন সেই ছিপ হাতে নেমে গেলেন পুকুরে বর্ণমালার পানা সরিয়ে সরিয়ে, আমি তবু বসে থাকি। আলফা বিটা আসে দুপুরের পর , বৃষ্টির মত তারা প্রতি বছরই আসতে দেরি করে, যেমন রাত দিনের শুরুতেই আসে না।তাই অভিমানে আমরা কথা বলি না। অথচ সম্পৃতি, সার সার সবাই বসে, জলে মাছ চুপচাপ, সমবেত শোক মিছিলের মাঝে ট্রটোস্ফিয়ার থেকে দু-এক কলি বিদ্যুত উড়ে আসে।

আসলে আমরা সকলেই লিখে চলেছি ক্রমাগত, বৃষ্টির ভারে কুঁকড়ে যাওয়া এক অগভীর , যে দৃশ্যত সীমাহীণ পুকুরে তারা কচুরিপানা হয়ে কইমাছগুলোকে আড়াল করে রাখছে প্রতি নিয়ত।

No comments: