Monday, November 26, 2007

বাংলাদেশ? আবার জিগায়।

ইঁটের মত দেওয়াল ছিল, ডিভিডির প্রহরীসজ্জায়, আর ঝলমলে ঠান্ডা আলো, শপিং মলগুলি আমাদের লাশকাটা ঘরের মত,ছিল কাক ছাড়া রমনা সবুজ সিএনজি অটোগুলি বৃষ্টিভেজা চাড়াই এর মত দু-একটি আমাদের বিক্ষিপ্ত আড্ডায়, পান্থপথের ঘরে বা চারুকলায়।

আমরা শবর-শবরী,জ্যামের রেলিংএ ঘেরা ধানমন্ডি ৩২ এর সার বাঁধা রিক্সার উপরে দেখি হেলিকাপ্টারের চক্কর, জলে ভেসে আসা জিয়ল মাছের মত ক্যাব বলতে পেলাম পারমানেন্ট এর দই আর রসের রসমালাই, এখন মরণচাঁদ মরণশীল,তাই আমি খুঁজিতে যাই না আর,তবু সেই এলিফ্যান্ট রোড গীতালি নামের জং ধরা দোকানে আমার হৃৎপিন্ড বাঁধা থাকে বিকালে অবশেষে। আর জোসেফ বসেজের মত হাত নাড়তে নাড়তে বসুন্ধরা সিটির পিছনের চিংড়ি মাছের মাথারা থাকে থাকে আছে ডিভিডির মত,তবু জোড়ায় জোড়ায় প্রাইভেট ইউভার্সিটি রিস্ট ওয়াচের মত, আমার সর্বাঙ্গে জল, ঐ হাজারে কাতারে হাজার ছাড়ানো ইলিশ মাছ ভিজে যাওয়া ঢাকাকে দ্য প্রফেটের মত একমিছিলহীণ শহর বানিয়ে দেয়, সেখানে ঘোড়া কেবল উড়ে যায় ডানা মেলে, জয়েস থাকলে বলতেন সূর্যের দিকে।

কলাবাগান জুড়ে এখনও ফেরিওলার মাদারি ডাক,আর কুমিল্লার পথে ডুবে যাওয়া রাস্টাঘাট,ক্ষেপটান জাল আর এক মানুষের মত শরীর নিয়ে মৃণালিনী মুখোপাধ্যায়ের ভাষ্কর্যের মাছ ধরার খাঁচা আমি দর করি, সে এক মৎসগন্ধা সময়, আর মোবাইলে ধরে রাখি সবুজ স্তনের ভাটিয়ারি । আর পতেঙ্গার সার সার ফ্ল্যাগ ওড়ানো ওপেন এয়ার ষ্টুডিও,কর্ণফুলির বেলুনওয়ালারা বন্দুক নাচায়, ঐ দ্বীপ আনোয়ারা, সে ত আমার বন্ধু মারিয়ার কথা আমার নয়,তাই ওই ঢেউ আমার ন্য়, আমি কেবল ডুবে যাই,ডুবে যেতে হাত বাড়াই, বাংলাদেশের সে রাজকন্যা কাঠির বদলেও ঘুম থেকে ওঠে না।

No comments: